বাংলার কথা NEWS 24X7: দুষ্কৃতিমূলক কাজকর্ম রুখতে ও আইন-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি এবার সাধারণ মানুষও নজরদারিতে যুক্ত হতে পারে

দুষ্কৃতিমূলক কাজকর্ম রুখতে ও আইন-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি এবার সাধারণ মানুষও নজরদারিতে যুক্ত হতে পারে—এমনই প্রস্তাব দিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার। 

এদিন মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় সেভ ড্রাইভ, সেভ লাইফ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংসদ জানান, প্রযুক্তির সাহায্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জনমুখী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিন সাংসদ তহবিলের টাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম এবং পুলিশের ব্যবহারের জন্য বিশেষ বডি ক্যামেরা তুলে দেওয়া হয় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের হাতে। পাশাপাশি মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সহ মধ্যমগ্রাম পৌর  এলাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ৩৩টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর হয়েছে বলেও জানান, যার কন্ট্রোল থাকবে মধ্যমগ্রাম থানার হাতে। অতীতে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং থেকে শুরু করে ‘ট্রলিতে দেহ গায়েব কাণ্ডে’ স্থানীয় দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এবার সেই নজরদারি আরও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চালানো হবে। জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানান, সচেতনতামূলক প্রচার এবং নজরদারির জোরে গত কয়েক বছরের তুলনায় দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে বারাসাত পুলিশ জেলায়। আগামী দিনে সচেতনতা আরও বাড়লে তা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি। মঞ্চ থেকে সাংসদ প্রস্তাব দেন, মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় বড় এলইডি স্ক্রিনে সিসিটিভি ফুটেজের সরাসরি সম্প্রচার চালানোর। এর ফলে দুষ্কৃতিমূলক বা অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে তা প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষের চোখে পড়বে এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বড় বিপদ রোখা সম্ভব হবে। এরসঙ্গে অশোকনগর, হাবরা সহ বারাসাত পুলিশ জেলার অন্যান্য থানাতেও একই ধরনের নজরদারি ও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এখন দেখার বিষয়, এই প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয় দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড ও দুর্ঘটনা রুখতে।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন