পশ্চিমবঙ্গ:নভেম্বরের মাঝামাঝি পড়তেই রাজ্যজুড়ে ধীরে ধীরে বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ — সর্বত্রই এখন শীতের আগমনী সুর স্পষ্টভাবে ধরা পড়ছে। ভোরবেলায় হালকা কুয়াশা, শিশিরভেজা ঘাস আর সকালের ঠান্ডা বাতাস— সব মিলিয়ে রাজ্যের প্রকৃতি যেন রূপ বদলাচ্ছে ধীরে ধীরে।
বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারসহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের প্রভাব ইতিমধ্যেই অনুভূত হচ্ছে। সকালে ও রাতে তাপমাত্রা ক্রমশ নিচে নামছে। শহরাঞ্চলেও এখন অনেকে হালকা সোয়েটার বা চাদর গায়ে দিচ্ছেন। দিনের বেলায় সূর্যের উজ্জ্বল উপস্থিতি কিছুটা উষ্ণতা দিলেও, সন্ধ্যা নামতেই ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর গরম কাপড় খুঁজছে। হালকা হাওয়ার সঙ্গে শিশির পড়ছে, যার ফলে মানুষ বুঝে নিচ্ছে— শীত আর খুব দূরে নয়!
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ অংশে তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে পারদ নামতে পারে ১২-১৪ ডিগ্রির ঘরে, আর দক্ষিণবঙ্গে নামবে ১৬-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজনও এখন উপভোগ করছেন এই রূপান্তরিত আবহাওয়া। সকালবেলার কুয়াশা, দুপুরের রোদ, আর সন্ধ্যার ঠান্ডা হাওয়া— তিন মিলে তৈরি হয়েছে এক মনোরম পরিবেশ।
রাজ্যের গ্রামাঞ্চলেও শুরু হয়েছে শীতের প্রস্তুতি। কেউ আগুন জ্বালিয়ে গা গরম রাখছেন, কেউ আবার সন্ধ্যাবেলা চায়ের দোকানে জমাচ্ছেন আড্ডা। শহরে পিঠেপুলির দোকানও একে একে খুলতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বলা যায় বঙ্গে শীতের আগমনী সুর বাজতে শুরু করেছে,আর রাজ্যের মানুষও প্রস্তুত শীতের মিষ্ট ছোঁয়াকে বরণ করে নিতে।



