পনের টাকা না দেওয়ায় রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ পণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় মরতে হল সুতপা বিশ্বাস প্রামানিকের। পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ২১তারিখ রাজারহাট থানার গলসিয়ার বাসিন্দা সুতপা বিশ্বাসের বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের কেমিয়া খামার পাড়া এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ প্রামানিকের সঙ্গে।
অভিযোগ বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের অর্থাৎ নিত্যানন্দ প্রামানিক এর সমস্ত দাবি পূরণ করার পরও বিয়ের এক সপ্তাহ পর ফের ব্যবসার জন্য টাকা দাবি করে এবং গৃহবধূ সুতপা বিশ্বাসের উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়। পনের দাবি দিতে দেরি হওয়ায় শুরু হয় শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার। দিনকে দিন সেই অত্যাচার বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ । 23 3 2019 শনিবার সকালে নিত্যানন্দ প্রামাণিকের ফোন যায় সুতপা বিশ্বাসের বাড়িতে এবং বলা হয় সুতপার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে মধ্যমগ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন সুতপার পরিবারের লোকজন । সুতপার পরিবারের দাবি তারা বাড়িতে এসে দেখে সুতপা খাটের উপর হাঁটু মোড়া অবস্থায় পাখার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। সুতপার দাদা সঞ্জয় বিশ্বাস এর অভিযোগ তার বোনকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করায় এই মৃত্যু এবং মৃত্যুর পিছনে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছে এবং ঘটনার তদন্ত চেয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছে মধ্যমগ্রাম পুলিশের কাছ।

