সুন্দরবন:দিল্লিতে বর্বরোচিত বিস্ফোরণ ঘটনার পর থেকেই গোটা উপকূলবর্তী অঞ্চলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকেই সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে উপকূলজুড়ে।
সকালে থেকেই কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা ও ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় মৎস্যজীবীদের ট্রলারে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। জলপথে নেমেছে পুলিশ বাহিনীর স্পিডবোট ও লঞ্চ। প্রতিটি ট্রলারে পৌঁছে যাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা, চলছে পরিচয়পত্র যাচাই ও সচেতনতামূলক প্রচার।
এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন—সুন্দরবন পুলিশের ‘হোভার ক্রাফট’, যা একসঙ্গে জল, স্থল ও কাদা জমি — তিন মাধ্যমেই চলতে সক্ষম। এই হোভার ক্রাফটের আগমনে নদীপথে টহলদারি অনেক বেশি দ্রুত ও কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, উপকূল জুড়ে সুরক্ষা আরও জোরদার করতে এই হোভার ক্রাফট ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা নৌযান চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও মৎস্যজীবীদের। সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান—“দিল্লি ঘটনার পর আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। প্রতিটি মৎস্যজীবী ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং তাঁদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো রকম সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে জানানো যায়।” এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনের নদীপথে চলছে পুলিশের এই কড়া নজরদারি, যা এখন স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নজর কেড়েছে।


