-->

নাগরকাটায় বিজেপি সাংসদ খাগেন মুর্মুর ওপর হামলা, উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গন

বাংলার কথা NEWS 24X7
0
উত্তরবঙ্গের নাগরকাটায় সোমবার দুপুরে বিজেপি সাংসদ খাগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে খবর, দুপুর ১টার দিকে নাগরকাটার বামানডাঙ্গা এলাকায় একদল দুষ্কৃতী হঠাৎই সাংসদ ও বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। মুহূর্তে গাড়ির সামনের ও পাশের কাচ ভেঙে যায়। পাথরের আঘাতে খাগেন মুর্মুর মাথায় চোট লাগে এবং তিনি রক্তাক্ত হন। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও সামান্য আহত হন। স্থানীয় কর্মীরা ছুটে এসে দু’জনকেই দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে মালবাজার হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের সিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার পরপরই এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে, এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন ,“এটা পরিকল্পিত হামলা। খাগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ বন্যার্তদের সাহায্য করতে গিয়েছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।”

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পাল্টা দাবি করেন ,“বিজেপি নিজের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। আমাদের কোনও কর্মী এই ঘটনায় যুক্ত নয়।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “রাজ্যে যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা সহ্য করা হবে না। কে বা কারা দোষী, তা পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।”

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স (X)-এ লিখেছেন,“একজন সাংসদের ওপর এইভাবে আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য। রাজ্যের প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ নিয়ে রাজনীতির পটভূমিতেই এই সংঘর্ষের জন্ম। বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব এখন কেবল নির্বাচনী ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মাঠে নেমে প্রতিটি প্রশাসনিক কাজেও প্রতিফলিত হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Ok, Go it!