বাংলার কথা NEWS 24X7: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা, এনডিআরএফ মোতায়েন, মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন

উত্তরবঙ্গে টানা প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং— এই পাঁচ জেলায় একাধিক নদীর জল বিপদসীমার অনেক উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বহু এলাকা প্লাবিত, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, সড়ক ও সেতু। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু ও ১৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচটি এনডিআরএফ টিম ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে। সেনা ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও নৌকা ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। প্রায় ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, বানারহাট ও আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি জলবন্দি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন কন্ট্রোল রুমে থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি জানিয়েছেন,

 “আমি সকাল ছ’টা থেকেই মনিটর করছি। পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করছি— আতঙ্কিত হবেন না, যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন। রাজ্য সরকার সর্বাত্মকভাবে পাশে রয়েছে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সোমবার তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রশাসনিক কর্তা ও স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এদিকে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও জোরালো। প্রশাসন রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।

প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে খাদ্য, পানি ও ওষুধ। স্কুল ও সরকারি ভবনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে পরিণত করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জেলা: জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং

নিহত: ৭ জন,আহত: ১৫০+উদ্ধারকৃত: প্রায় ১২,০০০

মোতায়েন: ৫টি এনডিআরএফ টিম, সেনা ও রাজ্য বাহিনী

মুখ্যমন্ত্রী: নবান্ন থেকে নজরদারি, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর