-->

পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ

বাংলার কথা NEWS 24X7
0



 বিয়ের বছর খানেকের মধ্যে অতিরিক্ত পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহির বগড়া গ্রাম।পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই গৃহবধূর নাম রিয়া সরকার (২০)।মৃত মহিলার মা রেবা বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁওতালডিহি থানার পুলিশ মৃতের স্বামী বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী রাকেশ সরকার ও দেওর মুকেশ সরকারকে আজ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে।

অন্যদিকে অপর দুই অভিযুক্ত শাশুড়ি বিভারাণী সরকার ও আরেক দেওর রাজেন সরকার এলাকা থেকে পলাতক।সাঁওতালডিহি থানার পুলিশ তাদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে।

মৃত মহিলার মা রেবা দেবী ঘটনার খবর পেয়ে আজ সকালে পাশ্ববর্তী বাঁকুড়া জেলা থেকে ছুটে আসেন পুরুলিয়ায়।তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, বছর খানেক আগে 26শা অগ্রহায়ণ আমার মেয়ে রিয়ার সাথে পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি থানার বগড়া গ্রামের যুবক রাকেশ সরকারের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম ।বিয়েতে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা,চার ভরি সোনার গহনা পণ দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে জামাই রাকেশ আরো অতিরিক্ত পণের দাবি জানিয়ে তাদের মেয়ে রিয়াকে চাপ দিতে থাকে ।রিয়া বেশ কয়েকবার বাপের বাড়ি এসে সে কথা তাদের জানিয়েছিল।কিন্তু তারা রিয়াকে জানিয়েছিল এত টাকা পণ দেওয়ার পর আরো অতিরিক্ত পণ দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই ।রিয়া সে কথা তার স্বামী ও শশুরর বাড়ির আত্মীয়দের জানানোর পরই শুরু হয়ে যায় তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন ।রিয়া সম্প্রতি একথা তাদের জানিয়েওছিল।কিন্তু এভাবে যে তাদের মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হবে তা ভাবতে পারছেন না তারা বলে জানান রেবা দেবী।

এদিকে শনিবার বিকেলে পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি থানার বগড়া গ্রামের রিয়ার শশুর বাড়িতে রিয়াকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার আত্মীয়রা দেখতে পেলে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের আত্মীয়রাই তাকে নিয়ে আসে পাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।কিন্তু সেখানকার চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপরই খবর দেওয়া হয় রিয়ার বাপের বাড়িতে।

এদিকে আজ পাড়া থানায় এসে মৃত ঐ মহিলার দেহের সুরতহাল করেন পাড়া ব্লকের বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়।সুরতহাল করার পরই দেহটি পাড়া থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য ।

আজ পাড়া থানায় আসেন মৃত মহিলার মা রেবা বিশ্বাস ও বাবা শিবন বিশ্বাস সহ আত্মীয়রা।তারা মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।তাদের সকলের অভিযোগ,ঘটনার পর তাদের জামাই তাদের ফোন করে জানায় রিয়ার শরীর অসুস্থ ,আপনারা আসুন ।আবার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মেয়ের দেওর ফোন করে জানান রিয়া সুইসাইড করেছে ।আমাদের তখনি সন্দেহ হয়েছিল ।এরপরই আমরা বাঁকুড়া জেলার খাতড়া থানার সুপুর গ্রাম থেকে ছুটে আসি পুরুলিয়ার পাড়া থানাতে।এসেই দেখি মেয়ের নিথর দেহ ।শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন । আমরা পরিস্কার হয়ে যাই যে , মেয়েকে খুন করা হয়েছে ।এরপরই সাঁওতালডিহি থানার পুলিশের কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ জানাই।


Post a Comment

0 Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Ok, Go it!