-->

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জেরে মমতার বক্তব্যের ভিডিও চাইল নির্বাচন কমিশন

বাংলার কথা NEWS 24X7
0
 পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Chief Electoral Officer - CEO) মনোজ আগরওয়ালকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর করা হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ এবং তার সঠিক অনুবাদ চেয়ে পাঠিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India - ECI)।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিতর্কের মূল কারণ গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর, ২০২৫) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে নাম না করে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ আনেন এবং তাঁকে সীমা না পেরোতে সতর্ক করেন। তিনি বলেন: "বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বেশি দড়! রাজ্যের সিইও-র বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সময় হলে বলব।"
এর পাশাপাশি, ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR) প্রক্রিয়া চলাকালীন আধিকারিকদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী পরোক্ষভাবে হুমকি দেন যে, সোমবারের (১২ অক্টোবর, ২০২৫) মধ্যে যদি তিনি সিইও-এর কার্যকলাপ সংক্রান্ত 'তথ্য' না পান, তবে তিনি বেশ কিছু 'দুর্নীতিগ্রস্ত আমলার' নাম প্রকাশ করে দেবেন।
নির্বাচন কমিশন ও বিরোধী দলের অবস্থান
নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ: সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এই মন্তব্যকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। একজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ ও হুঁশিয়ারি দেওয়াকে তারা 'আচারণবিধি লঙ্ঘন'-এর সমতুল্য বলে মনে করছে। কমিশন অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সম্পূর্ণ ভিডিও এবং নির্ভুল প্রতিলিপি (Transcript) জমা দিতে বলেছে।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে 'একজন সাংবিধানিক কর্মকর্তাকে ভয় দেখানোর নির্লজ্জ প্রচেষ্টা' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি কমিশনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্যের প্রতিক্রিয়া
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে কারচুপি করে সাধারণ মানুষের নাম বাদ দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিবাদ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কোনো অসাংবিধানিক বিষয় নেই।
ঘটনাটি যেহেতু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো স্পর্শকাতর প্রক্রিয়ার মধ্যে ঘটেছে, তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Ok, Go it!