বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা ক্ষেত্রের নীতি ও বাজেট সংক্রান্ত পরিবর্তনের কারণে আমেরিকায় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি খবর মিলেছে যে, নোবেলজয়ী দম্পতি তাদের স্থায়ী গবেষণা ও কর্মজীবনের কেন্দ্র হিসেবে আমেরিকাকে ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিজিৎ ব্যানার্জি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ, যিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-তে অধ্যাপনা করছেন। ২০১৯ সালে তিনি এসথার ডুফলো ও মাইকেল ক্রেমার-এর সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাদের গবেষণা মূলত গরিবি দূরীকরণ ও উন্নয়ন অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে।
এসথার ডুফলো: ফ্রান্স-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ, যিনি বর্তমানে MIT-তে অধ্যাপনা করছেন। তিনি অ্যাবদুল লতিফ জামিল পুওভার্টি অ্যাকশন ল্যাব (J-PAL)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-পরিচালক। ২০১৯ সালে তিনি অভিজিৎ ব্যানার্জি ও মাইকেল ক্রেমার-এর সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নীতি এবং অর্থায়ন-এ সম্প্রতি যে কাটছাঁট ও পরিবর্তন এসেছে, তা মূলত এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রভাব ফেলেছে।
বৈদেশিক গবেষক ও উচ্চমানের বিজ্ঞানী আকর্ষণ কমানো।
বিশ্ববিদ্যালয় নীতি ও প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা বৃদ্ধি।
নোবেলজয়ী দম্পতির বক্তব্যে উঠে এসেছে, “আমরা এমন পরিবেশ খুঁজছি যেখানে গবেষণা স্বাধীনতা, দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব ও সৃজনশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।”
বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিককে হারানো আমেরিকার গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তারা আশঙ্কা করছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ যদি চলতে থাকে, তবে দেশটি গ্লোবাল গবেষণার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য পরিবেশ ও নীতি কেবল বৈজ্ঞানিকদের প্রেরণা নয়, বরং দেশের গবেষণা নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অবস্থানও নির্ধারণ করে। নোবেলজয়ী দম্পতির আমেরিকা ত্যাগের সিদ্ধান্ত এই বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছে।
